শান্তি-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে মন্তব্য করে ফেনীতে আয়োজিত এক সভায় বক্তারা বলেছেন, ‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এক হয়ে কাজ করতে হবে। বিগত স্বৈরাচারের আমলে ফ্যাসিস্টদের অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে অনেকে। মানুষকে জিম্মি করে টাকার পাহাড় করেছে। রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে তারা। এককভাবে সব প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।’
গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাতে ফেনীতে পিস ফ্যাসিলিটেটের গ্রুপ (পিএফজি) গঠনবিষয়ক এক সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
শহরের ডা. সাজ্জাদ হোসেনের ডক্টরস রিক্রিয়েশন ক্লাব মিলনায়তনে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাশের সহযোগিতায় এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এ সময় নেতারা আরো বলেন, ‘মামলা, হামলা, দুর্নীতি ও লুটপাট এসবের বাইরে এসে জঞ্জাল মুক্ত সমাজ গড়তে হবে। সবার মতামতের ভিত্তিতে সকল কার্যক্রম পরিচালিত করা হবে। বিভিন্ন সেক্টরে নেতৃত্ব দেয়া মানুষরা ঐক্যবদ্ধ হলে সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব।’
আলোচনা সভায় সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) ফেনী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক নয়া দিগন্ত ফেনী অফিসের স্টাফ রিপোর্টার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী হাবিব উল্যাহ মানিক ও আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা প্রচার সম্পাদক আ ন ম আবদুর রহীম, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পার্থ পাল চৌধুরী, জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদ সভাপতি শুকদেব নাথ তপন।
এছাড়া জাসদ সভাপতি সামছুদ্দিন মজুমদার, হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ওমর ফারুক, খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি মাওলানা সানা উল্যাহ, ইসলামী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা একরামুল হক, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, নারী নেত্রী কামরুন নাহার মনি, সাংস্কৃতিক সংগঠক সৈয়দ আশরাফুল হক আরমান, সবুজ বাংলার নির্বাহী পরিচালক জয়নাল আবদীন রাসেল। সুজন জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসেনের পরিচালনায় গঠণতন্ত্র উপস্থাপন করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী সৈয়দ নাছির উদ্দিন।
এ সময় স্বাগত বক্তব্য দেন ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর খোদেজা বেগম। সভায় স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতা নিরসন ও শান্তি-সম্প্রীতি স্থাপনের লক্ষ্যে বক্তারা গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া দি হাঙ্গার প্রজেক্ট (টিএইচপি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের ‘পিস বিল্ডিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজনৈতিক ও নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিত্বশীল নেতাদের নিয়ে টিএইচপির অনুপ্রেরণায় একটি বহুদলীয় প্লাটফর্মস‘ পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ’ (পিএফজি) গঠিত হয়। যা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে স্থানীয় পর্যায়ে শান্তি-সম্প্রীতি ও সহাবস্থান নিশ্চিতকরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।
এ সময় বক্তারা সদর উপজেলায় সহিংসতা নিরসন ও শান্তি-সম্প্রীতি স্থাপনে কার্যকর ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার করেন সভা শেষে সবার মতামতের ভিত্তিতে মোরশেদ হোসেনকে সমন্বয়ক করে ৩০ সদস্যদের পিএফজি গ্রুপ গঠন করা হয়েছে।