চট্রগ্রামে দেশদ্রোহী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন কর্তৃক মুসলিম আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদে আজ বুধবার ২৭ নভেম্বর দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফেনী জেলা।একই সঙ্গে তারা ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধের দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা বলেন,জুলাই অভ্যুত্থানে হিন্দু মুসলমানসহ সকল ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে আন্দোলন করেছিলেন ছাত্র-জনতা। কিন্তু পতিত সরকারের দোসর ও দিল্লির ষড়যন্ত্রে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্র চলছে। সেই উদ্দেশ্যেই চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সেই সাথে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিচার দাবি করেন তারা।
তারা বলে আওয়ামীলীগ ইসকনের উপর ভর করে দেশে অস্থিরতা ও পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই ইসকন ও আওয়ামী লীগের ঠাই এইর বাংলার মাটিতে হবে না। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ষড়যন্ত্র রুখে দেবো। ভারতকে উদ্দেশ্য করে তারা বলেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আপনারা নাক গলাবেন না। যখন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের উপর হামলা, বিশ্বজিৎ কে কুপিয়ে হত্যা করেছে আপনারা কোথায় ছিলেন?। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার নিয়ে ভারত সরকারের বিবৃতির প্রতিবাদে বাংলাদেশ সরকার কঠা জবাব দেওয়ায় ইউনুস সরকারকে ধন্যবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।
আমার সোনার বাংলায়, উগ্রবাদের ঠাই নাই’,’ ভারতের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান’, ‘ মুদীর দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান’,’ সারা বাংলায় খবর দে, ইসকনের কবর দে’ এমনসব স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-সমন্বয়ক মো: ওমর ফারুক শুভ, মুহাইমিন তাজিম, ওমর ফারুক, শান্ত, মারুফ, শাওন, যোবায়ের বিন ওবায়েদ। বিক্ষোভে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা যোগ দেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে ইসকন সমর্থকদের হামলায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের সামনের সড়কে ঘটে এ ঘটনা।