ফেনীতে কেককাটার মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে
দৈনিক নয়া দিগন্তের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে শহরের গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নয়া দিগন্ত ফেনী অফিসের স্টাফ রিপোর্টার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ও সঞ্চালনা করেন নয়া দিগন্ত প্রিয়জন সমাবেশের আহ্বায়ক মামুনুর রশিদের।
এতে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো: হাবিবুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও ফেনী পৌরসভার প্রশাসক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন খান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির মুফতী আবদুল হান্নান, স্টার লাইন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান জাফর উদ্দিন, দৈনিক প্রথম আলো প্রতিনিধি আবু তাহের প্রমুখ।
শুরুতে গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতার জন্য দোয়া করেন ফেনীর আল-জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা ফারুক আহমাদ।
প্রধান অতিথি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। এই সরকারকে জনগনের আকাঙ্ক্ষার সরকার বলা যাবে। তবে গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকার বলা যাবে না। এই সরকারকে আমরা সমর্থন দিয়েছি, সমর্থন দিয়ে যাব। নির্বাচনী, সাংবিধানিক, সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিকসহ বিভিন্ন সংস্কার করা হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে সুস্পষ্ট রোড ম্যাপ চাই। যৌক্তিক সময় বলে দীর্ঘ সময় ঠিক হবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শরিক হতে গিয়ে এক লাখ ৫২ হাজার মামলায় ৬২ লাখ রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছিল। জুলাই-আগস্টে যারা অগ্রণী ভুমিকা রেখেছেন আমরা তাদের স্মরণ করতে চাই। বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীসহ যারা গত ১৬ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে মানুষের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন এবং মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে গেছেন তাদেরকে ভুলে গেলে চলবে না। এই সময়ের মধ্যে আন্দোলন করতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন, নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছেন, তাদের ভুলে গেলে চলবে না। তাদের অবদানও স্মরণ করতে হবে।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন,জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক গাজী হাবিব উল্যাহ মানিক, এয়াকুব নবী, আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, জামায়াতে ইসলামীর জেলা প্রচার সম্পাদক আ ন ম আবদুর রহীম, রাজনৈতিক সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক মানিক, শহর আমির মুহাম্মদ ইলিয়াছ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুস সাত্তার ও যুগ্ম-সম্পাদক এমদাদ হোসেন, জেলা কালচারাল অফিসার এসএমটি কামরান হাসান, গ্লোবাল ওয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ লুব ব্লেন্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ অর্পন, ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এ কে এম আবদুর রহীম, ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুকদেব নাথ তপন, সাধারণ সম্পাদক এম এ জাফর, দৈনিক স্টার লাইন সহযোগী সম্পাদক জসিম মাহমুদ, দৈনিক ফেনী সম্পাদক আরিফুল আমিন রিজভী, নয়াপয়গাম সম্পাদক এনামুল হক, জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন খন্দকার, যুগ্ম-সম্পাদক আমজাদ হোসেন সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক নঈম উল্যাহ চৌধুরী বরাত, পৌর আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন বাবলু, যুগ্ম-আহ্বায়ক হায়দার আলী রাসেল পাটোয়ারী, মহিলা দল সভাপতি জুলেখা আক্তার ডেইজী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি কফিল উদ্দিন মামুন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এস এম কায়সার এলিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ সবুজ, ছাত্রদল সভাপতি সালাহউদ্দিন মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন, সহ-সভাপতি ফরহাদ উদ্দিন চৌধুরী মিল্লাত, ফখরুদ্দিন সেন্টু, যুগ্ম-সম্পাদক নজরুল ইসলাম দুলাল, শওকত আলী জুয়েল পাটোয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকের হোসেন রিয়াদ, দফতর সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সুমন, সদর উপজেলা আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, ফেনী সরকারি কলেজ সভাপতি আবদুল হালিম মানিক, সুজন কুমিল্লা অঞ্চল সমন্বয়ক সৈয়দ নাছির উদ্দিন, পায়রা শিশু কিশোর সংগঠনের সভাপতি জাহিদ হোসেন বাবলু, নজরুল অ্যাকাডেমি জেলা সভাপতি ফখরুদ্দিন আলী আহমদ তিতু, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মহিউদ্দিন খোন্দকার, জেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ হোসেন, শহর ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান সোহেলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশ নেন।