স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে মানব পাচারকারি চক্রের তিন সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ সদস্যরা। এসময় একজন নারীসহ তিনজন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে মানব পাচারকারিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান ভূয়া পাসপোর্ট, পাসপোর্ট তৈরির ভূয়া জন্ম সনদ, পাসপোর্ট তৈরির ভূয়া কাগজপত্র এবং সার্টিফিকেট তৈরির কাজে ব্যবহৃত ৩টি কম্পিউটার, ২টি প্রিন্টার, একটি স্ক্যানার, ৭টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৬০ হাজার ৫৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল এগারটায় কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ নগরীর শাকতলায় র্যাবের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং করে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রেস ব্রিফিং সূত্রে জানা যায়, রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ধোড়করা বাজার ও চিওড়া এলাকায় এ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মানব পাচারকারি চক্রের সদস্যদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃত মানব পাচারকারিরা হলো: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের কাপড়চতলী গ্রামের মৃত. আবুল কালামের ছেলে মো. আব্দুর রহিম ওরফে রুবেল (২৫), একই গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে মো. নুরুল হক (২৯) এবং একই ইউনিয়নের ডিমাতলী গ্রামের মো. কামাল উদ্দিনের ছেলে কাজী ফয়সাল আহাম্মেদ ওরফে রনি (৩২)।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা হলো: বালুখালির পানবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর এক অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে, ট্যাংখালির রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৯ এর মোহাম্মদ আমির হোসেনের ছেলে মো. জাহেদ হোসেন (২৫) এবং উখিয়ার কুতুবপালংয়ের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সি/৩ এর মো. হাকিম শরিফের ছেলে মো. রফিক (৩৭) ।
কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব জানান, আটক হওয়া আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের নানাবিধ প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাঠানোর উদ্দেশ্যে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে এসে বাংলাদেশী পাসপোর্ট তৈরি করে মালেশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাচার করে আসছিল। এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা মেয়েটির ভূয়া জন্ম সনদ উদ্ধার করা হয়, যা এই পাচারকারি চক্র তৈরি করে তা দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশে পাচার করার চেষ্টা করছিল।